January 4, 2014

শওকত হাচানুর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী
বরগুনা-২
আসনে শওকত হাচানুর রহমান পাঁচ বছরে আয় বাড়িয়েছেন প্রায় ৩০ গুণ। হাচানুর রহমান ২০০৯ সালের শুরুর দিকে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সে সময় তিনি নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামায় বার্ষিক আয় দেখান ১০ লাখ টাকা। চলতি বছরের জুন মাসে দাখিল করা আয়কর বিবরণী অনুযায়ী তার আয় বেড়ে এক কোটি ৯৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। এ হিসাবে পাঁচ বছরে তার আয় বেড়েছে প্রায় ১৯ গুণ। ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় তিন কোটি চার লাখ টাকা। এ হিসাবে গত পাঁচ মাসে তার আয় বেড়েছে আরও ১১ গুণের মতো। ২০০৯ সালে তার মোট সম্পদ ছিল দুই কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ৩৬০ টাকার। ব্যবসা থেকে আয় দেখান ১০ লাখ চার হাজার টাকা। গত অক্টোবরের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে হাচানুর যে সম্পদ বিবরণী দেন, তাতে নিজের মোট সম্পদের আর্থিক মূল্যের পরিমাণ দেখান ছয় কোটি ৩৩ লাখ টাকা। উপনির্বাচনের সময় তার নগদ দুই কোটি ৮৯ লাখ টাকা এবং ব্যবসার পুঁজি হিসেবে ছয় কোটি ১০ লাখ ৩৮ হাজার টাকার কথা উল্লেখ করেন। তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে একটি মিনিবাস, এক ব্যক্তির কাছে বিনিয়োগ করা অর্থসহ বেশ কয়েকটি খাতের উল্লেখ করেছেন। স্থাবর সম্পদের মধ্যে তার নিজের ও স্ত্রীর নামে কেনা ঢাকায় সাড়ে তিন শতক জমি, বরিশাল ও পাথরঘাটায় কেনা কৃষিজমি, বরগুনা বিভিন্ন স্থানে ও বরিশালের আগরপুর রোডে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া চারতলা বাড়ি ও কৃষিজমি। ২ ডিসেম্বর দেয়া হলফনামা অনুযায়ী পাঁচ মাসে হাচানুরের সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে আট কোটি ৫৩ লাখ টাকা হয়েছে। হলফনামায় গত এক বছরে তিনি সম্পদের পরিবৃদ্ধি দেখান তিন কোটি ৬৬ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় এক কোটি ৬৬ লাখ টাকা বেশি। এ ছাড়া গত পাঁচ মাসে তার সম্পদ বেড়েছে দুই কোটি ২০ লাখ টাকা।

0 মন্তব্য(গুলি):

Post a Comment