January 8, 2014

অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৬ হাজার ৪২২ ভাগ 

এ কে এম এ আউয়াল (সাইদুর রহমান) 

পিরোজপুর-১ 

আসনের এমপি এম এ আউয়ালের চেয়ে তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তির আয় বহুগুণে বেশি। তার চেয়ে তার স্ত্রীর সম্পদও বেশি। ২০১৩ সালের হলফনামায় দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, আউয়ালের বার্ষিক আয় ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তবে তার উপর নির্ভরশীলের আয় তিনি দেখিয়েছেন ২ কোটি ৯ লাখ ৬ হাজার টাকা। যদিও ২০০৮ সালের হলফনামায় তিনি নির্ভরশীলের কোন আয় উল্লেখ করেননি। ওই হলফনামা থেকে জানা যায়, ওই সময় তার বার্ষিক আয় ছিল ৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। বর্তমানে তা সড়ে তিন গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এর মধ্যে পুরোটাই জাতীয় সংসদের পারিতোষিক ও ভাতাদি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অন্য কোন উৎস থেকে তিনি কোন আয়ের বিবরণ দেননি। এম এ আউয়াল পাঁচ বছর আগে দেয়া হলফনামায় তার অস্থাবর সম্পদ উল্লেখ করেন ২৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। বর্তমানে তা ৬ হাজার ৪১২ ভাগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে কোটি ৪০ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা দেখিয়েছেন ৯৫ লাখ ২ হাজার টাকা। ৭ তোলা স্বর্ণের মূল্য দেখিয়েছেন ২৫ হাজার টাকা। এছাড়া একটি শাটগান ও একটি পিস্তলের উল্লেখ করেছেন। তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি ২০০৮ সালে ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও ৩০ ভরি স্বর্ণ। স্বর্ণ অবশ্য তিনি উপহার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পত্তি দেখিয়েছেন ১ কোটি ৪৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এই পাঁচ বছরে স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৫০ গুণ। এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে- ১ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা, ১৭ লাখ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি ও ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকার জহুরা শিপিং। এর বাইরে গত পাঁচ বছরে স্থাবর সম্পত্তিও বেড়েছে অনেকগুণ। ২০০৮ সালের সম্পত্তির সাথে নতুন করে সম্পত্তি বৃদ্ধি দেখিয়েছেন ৩ দশমিক ৯৫ একর অকৃষি জমি। যার মূল্য উল্লেখ করেছেন ২৯ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে দশমিক ৬১১২৫ একর অকৃষি জমি মুল্য ৭৭ লাখ ৮৯ হাজার ও একটি দালান যার মূল্য ৭৪ লাখ টাকা। -




Source Link : >>>>>

0 মন্তব্য(গুলি):

Post a Comment