January 4, 2014

আবদুল মান্নান খান
আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী আবদুল মান্নান এবং তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ গত ৫ বছরে বেড়েছে ১০৭ গুণ। নির্বাচন কমিশনে দায়ের করা হলফনামা অনুযায়ী, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে এ মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল প্রায় ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। কিন্তু, সম্প্রতি পেশ করা ২০১৩-১৪ অর্থবছরের আয়কর বিবরণীতে অবিশ্বাস্যভাবে সে অর্থের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৩ লাখ টাকায়। কিন্তু, হলফনামায় আবদুল মান্নান তার সম্পদের উৎসের কথা বিশদ ও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেননি। তার স্ত্রী বা অন্য নির্ভরশীলদের বার্ষিক আয় হয়ে গেছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। ২০০৮ সালে তার আয় ছিল ২৬ লাখ ২৫ হাজার ও নির্ভরশীলদের কোনো আয়ই ছিল না। পাঁচ বছর পর তিনি ও তার স্ত্রী বা অন্য নির্ভরশীলদের বার্ষিক আয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। পাঁচ বছর আগে তার সম্পদ ছিল প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা। এখন সেই সম্পদ হয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা। এই সময়ে ১০৭ গুণ বেশি সম্পদ বৃদ্ধির রের্কড হয়েছে। আবদুল মান্নান খানের আয়ের বড় উৎস মৎস্য ও প্রবাসী আয় ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। একই খাতে তিনি নির্ভরশীলদের আয় দেখিয়েছেন এক কোটি ৭৩ লাখ টাকা। মান্নান খানের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের ও স্ত্রীর কাছে নগদ ৫৫ লাখ টাকা, সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানত হিসেবে নিজের নামে ৪৩ লাখ ও স্ত্রীর নামে সাড়ে ৬ লাখ টাকা এবং ৪৪ লাখ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি। স্থাবর সম্পদের মধ্যে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া পাঁচ একর কৃষি জমি। নিজ নামে ৩১ লাখ ৭৪ হাজার এবং স্ত্রীর নামে এক কোটি ৬৪ লাখ টাকার অকৃষি জমি। তার আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের মূল্য এক কোটি ৮১ লাখ টাকা। অ্যাপার্টমেন্টের দাম এক কোটি ৮১ লাখ টাকা। বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ি ও মোটরসাইকেল বাবদ ৪৪ লাখ ৩১ হাজার ২০০ টাকা তার নিজের নামে রয়েছে। পাঁচ বছর আগে তার ও স্ত্রীর কোনো পাকা দালান ছিল না। এখন তার দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে বলে হলফনামায় বলা হয়েছে। এ দুটি ফ্ল্যাটের মূল্য ধরা হয়েছে এক কোটি ৮১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।

0 মন্তব্য(গুলি):

Post a Comment